বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে তরুণদের আশার বাতিঘর মুনতাসির

  • আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

সোহাগ মনি|| তরুণ প্রজন্ম ঝুকছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে। তবে বেশির ভাগই সঠিক কার্যকলাপের অভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন। অনেকে আবার ধৈর্য্য রাখতে না পারায় সহজেই ছাড়ছেন হাল। এর ব্যতিক্রম এস এম মুনতাসির মুকিত। নিজের প্রজ্ঞা, মেধার পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জগতে। তরুণদের কাছে তিনি হতে পারেন আশার বাতিঘর।

শুরুর কথা বলতে গেলে ২০১৫ সাল থেকেই যাত্রা এই ফ্রিল্যান্স্যারের। তখন থেকেই নিজের সুপ্ত বাসনাকে বাস্তব রূপ দিতে থাকেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি মুকিতকে।

ছোট বেলা থেকেই তথ্য প্রযুক্তির দিকে অনন্য নেশা ছিল তার। ভাবতেন কী ভাবে একজন বৈশ্বিক নাগরিক হয়ে ওঠা যায়। আধুনিক বিশ্ব ব্যবস্থায় নিজেকে সংযুক্ত করার স্বপ্ন দেখতেন। নিজের মেধাকে শুধু দেশে নয় বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াস তার।

সেই স্বপ্ন যেন আজ ধরা দিয়েছে মুকিতের জীবনে। দেশে বসেই বিশ্বের ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছেন তিনি। উজ্জ্বল করছেন বাংলাদেশের নাম।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বেশ পারদর্শী মুকিত। নজরকারা সব ডিজাইন ও বিপণন কৌশলে সহজেই আকৃষ্ট করতে পারেন ক্লায়েন্টদের। যোগাযোগ দক্ষতা দিয়ে নিজের কাজের মাত্রা তুলে ধরাতে জুড়ি নেই তার।

ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজিশন (এসিও) ও ব্র্যান্ডিং সেবা দিয়ে থাকেন গ্রাহকদের।

মুকিতের জন্ম বগুড়ার সদর উপজেলায়। বেড়ে ওঠা অবশ্য ভারতে। সেখান থেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের হাতেখড়ি তার। সেই হাতেখড়িতে ঝলসে দিতে দেশে এসে ভর্তি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। শাণিত করতে থাকেন থাকেন হাত। একের পর কার্যক্রমে ইউনিভার্সিটিতেও নানান প্রজেক্টে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন তিনি।

বর্তমানে দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন মুকিত। পাশাপাশি নিজের ফ্রিল্যান্সিং পেশাও ধরে রেখেছেন। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে তরুণরা।

ফয়েজ নামে এক তরুণ বলেন, ‘দেশের ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হতে পারেন মুকিত ভাই। তার পেশাদারিত্ব আর মেধা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে। হতাশার ভিড়ে আমাদের অনুপ্রেরনার জায়গা তিনি।’

শুভ নামে ঢাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘কি ভাবে কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। মুকিত ভাইকে পেয়ে অনেক কিছু শিখি। এখন আত্মবিশ্বাস হয়েছে যে আমি পারবো ফ্রিল্যান্সিং।’

নিজের ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মুকিত বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আমাদের তরুণ প্রজন্ম নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়ানোর দিকে নজর দিবে। যদিও আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে বসবাস করি আমাদের কাজ করতে হয় ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে, তাই তেমন ভাবেই প্রস্তুত থাকা দরকার আমাদের। আর এজন্য দরকার সঠিক নির্দেশনা। সরকারের সুদৃষ্টি থাকলে তরুণরা বিশ্ব দরবারে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে পারবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি আমরা।

তরুণদের উদ্দেশ্যে কোর্স চালু করা হবে কি না এমন প্রশ্নে এই ফ্রিল্যান্সার বলেন, ‘এখনও কোর্স বা ভিডিও নিয়ে তেমন ভাবিনি। ভবিষ্যতের কথা তো আর বলা যায় না। যদি তরুণরা আমার কাছ থেকে কিছু শিখতে পারে তাহলে নিজের সর্ব্বোচ্চটা উজার করে দিতে প্রস্তুত আমি।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..