শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে : ব্যারিস্টার অপু কুড়িগ্রামে কলেজ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা ও সম্পত্তি ক্রোক নাসিরনগরে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার প্রথমবার সর্ববৃহৎ ‘ড্রোন শো’ দেখলেন লাখো দর্শক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে বাঞ্ছারামপুর ব্লাড ব্যাংকের ঈদ উপহার বিতরণ বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি সাইদের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ মানিকপুর আলাবস্কি বাড়ি একতা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল বিমান হামলার পর গাজায় স্থল অভিযান জোরদার ইসরাইলের অবশেষে বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা পেলেন সাকিব আল হাসান

কুড়িগ্রামে কলেজ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ

  • আপডেট টাইম: শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে অবস্থিত কিসমত উল্লাহ বালাজান কৃষি ও কারিগরি ইনস্টিটিউটের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি কুচক্রি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। অত্র এলাকার এক মাত্র কৃষি ও ডিপলোমা কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মিথ্যা,বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য দিয়ে একটি পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। যা সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টালের নীতিমালার পরিপন্থি। উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব ভুয়া সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বুধবার কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন সরকার স্থানীয় সাংবাদিকদের এসব তথ্য তুলে ধরেন।

‘কলেজে শিক্ষার্থী নেই,ক্লাস নেই,তবুও বেতন নিচ্ছেন’ শীর্ষক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারাপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন,অত্র কৃষি কলেজের মোট শিক্ষার্থী ১৮৫ জন । যদিও প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা ৫০।

শিক্ষক ও কর্মচারিরা নিয়মিত অফিস করেন। এনটিআরসিএ থেকে কলেজের শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত না হলেও খন্ডখালীন শিক্ষক দিয়ে নিয়মিত ক্লাস করানো হয়। যার কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য কৃষি ডিপলোমার কলেজের চেয়ে এই কৃষি কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা এবং পাশের হার শতকরা ৯০ ভাগ।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ কারিগর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রশ্নে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাধানে পরিক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরিক্ষার সময় অত্র কলেজের আশে-পাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকে বিধায় বহিরাগতদের পরিক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। সেখানে বহিরাগতদের দিয়ে পরিক্ষা নেওয়ার প্রশ্নেই উঠে না। বোর্ড কর্তৃপক্ষের করা প্রশ্নে পরিক্ষা গ্রহণ এবং বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ করায় সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, বোর্ড নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী কলেজটি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত হিসাবে কলেজে উপস্থিত থেকে অফিস সহকারিসহ অন্য কর্মচারিদের সহযোগিতায় সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কলেজের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে ঢাকায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও রংপুর আঞ্চলিক অফিস ও কড়িগ্রামে যেতে হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, অত্র চরাঞ্চলে রোমারির রাজীবপুর একটিমাত্র কৃষি ডিপ্লোমা কলেজ । প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারিভাবে ভবন, আসসবাবপত্র ও অনুদান পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র এমপিওভুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ ব্যবস্থপনা কমিটি কর্তৃক সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অফিস সহকারি আমজাদ হোসেন বলেন,অত্র কৃষি কলেজের সনদ বাণিজ্যের সুযোগ নেই। ‘সনদ বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছে’ এই অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন । আমার পৈত্তিক জমি বিক্রি করে ৬২ লক্ষ টাকা এবং জমি বন্ধক রেখে ১০ লক্ষ টাকা এবং ব্যাংক-এনজিও থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি।

ল্যাবএসিসটেন্ট বলেন, কলেজে না থেকে ঢাকায় কোচিং সেন্টার করার অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ঢাকা-ত-দূরে থাক এলাকাসহ কোথাও কোচিং সেন্টার নেই। সংবাদ সম্মেলনে মোসাম্মদ কাকলিসহ সকল কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মচারিরা কলেজটির ভারমূর্তি রক্ষায় সাংবাদিক সমাজ ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..